ইতিকাফ বলতে কি বুঝায় তা কয় প্রকার ও কি কি শর্তসহ হুকুম নিম্নে আলোচনা করা হল
ইতিকাফ এর পরিচয়ঃ- ইতিকাফ আরবি শব্দ, এর অর্থ হল-
১/ অবস্থান করা৷ ২/বসা৩/বিশ্রাম করা৷ ৪/সাধনা করা
৫/ধ্যান করা ইত্যাদি।
পারিভাষিক সংঙ্গাঃ-রমজানের ২১তম রাত হতে ২৯তম রাত পর্যন্ত সাংসারিক ও যাবতীয় ঝামেলা হতে মুক্ত হয়ে মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
ইতিকাফের নিয়তঃ-ইতিকাফের জন্য নিয়ত হল- নাওয়াইতু আন সুন্নাতুল ইতিকাফ-মাদুমতু হাজাল মাসজিদ।এই নিয়ত করে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। নামাজী মুসল্লিদের যাতায়াত বা নামাজে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
ইতিকাফের হুকুমঃ-
রমজানের শেষ ১০ দিন মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা-ই-কিফায়া। মহল্লার কোনো একজন ব্যক্তি ইতিকাফ পালন করলে সবার পক্ষ হতে আদায় হয়ে যায়। কেউ যদি ইতিকাফ না করেন তবে সবাই সুন্নাত ত্যাগের জন্য দায়ী। এ থেকে বুঝা যায় আমাদের সকলকে ইতেকাফ করা উচিত।
ইতিকাফ কয় প্রকারঃ- ইতিকাফ তিন প্রকার। যথা-
১/ওয়াজিব ইতিকাফ
২/সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ
৩/নফল ইতিকাফ
ওয়াজিব ইতিকাফঃ-যা মানত করার কারণে ওয়াজিব হয়। এই ইতিকাফ অবশ্যই পালন করতে হবে।
সুন্নাতেমুয়াক্কাদা ইতিকাফঃ-লাইলাতুল কদরের সওয়াব অর্জনের জন্য রমজান মাসের শেষ ১০ দিন করা হয়। যা আমাদের প্রিয়নবী (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামগণ করেছেন। বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রায় সব মসজিদের এ ইতিকাফ করে থাকেন।
নফল ইতিকাফঃ-নফল ইতিকাফের কোনো নির্ধারিত সময় নেই। যে কোনো মাসের যে কোনো দিনের যে কোনো সময় তা করা যায়। আর এই ইতিকাফকে নফল ইতিকাফ বলে।
ইতিকাফের শর্তঃ- ইতিকাফের শর্ত ৩টি। যথা-
১/ যে কোনো মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়, এরূপ যে কোনো মসজিদে পুরুষদের অবস্থান করতে হবে। আর মহিলারা আপন ঘরে ইতিকাফ করবে।
২/ইতিকাফের নিয়তে ইতিকাফ করতে হবে। কেননা বিনা নিয়তে ইতিকাফ হয় না।
৩/ইতিকাফকারীকে সর্বদা পাক-পবিত্র থাকতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে ইতিকাফ করার তৌফিক দান করুক- আমিন
Amin
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteNice
ReplyDelete